প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
সরকারি সুযোগ-সুবিধাভোগের তালিকায় যোগ হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ডিঘর গ্রামের গদি মিস্ত্রি রাসেল রহমান সরকারি গেজেটে তিনি ‘আহত জুলাইযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন অথচ স্থানীয় অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন তথ্য যে ঘটনায় তিনি আহত হয়েছিলেন তা কোনো গণআন্দোলনের নয় ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে সৃষ্ট মারামারিতে আহত হন
রাসেল রহমান গোকর্ণ ইউনিয়নের ডিঘর প্রাইমারি স্কুলপাড়া এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর ধরে তিনি ঢাকার বাড্ডা এলাকায় গদি মিস্ত্রির কাজ করছেন তার দাবি, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন ৫ আগস্ট ঢাকার বাড্ডায় আন্দোলন চলাকালে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন পরবর্তীতে চিকিৎসা নিয়ে সরকারি গেজেটে আহত জুলাইযোদ্ধা হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয় গেজেট নম্বর ১৫৬৬, আর মেডিকেল কেস আইডি ২৭৫৩৯
তবে স্থানীয়দের বক্তব্য ভিন্ন তারা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকায় নয় নিজ বাড়িতেই ছিলেন রাসেল ওইদিন জমি-জমা নিয়ে চাচা ফারুক মিয়ার সাথে দু দফা মারামারি হয় এতে রাসেল ও তার পরিবারের কয়েকজন আহত হন অপরদিকে ফারুক মিয়ার পরিবারও গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে রাসেল ১২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে মামলা করেন (সি.আর নং–৪৯২/২৪) আর ফারুক মিয়ার স্ত্রী নার্গিছ আকতার ১৯ আগস্ট নাসিরনগর থানায় মামলা করেন (জি.আর নং–১৫১/২৪)পরে স্থানীয় সালিশে মীমাংসার মাধ্যমে উভয় মামলা প্রত্যাহার করা হয়
এ প্রসঙ্গে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথমে রাসেল পারিবারিক দ্বন্দ্ব অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন চাচা র ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মাথার আঘাত দেখিয়ে মামলা করেছিলেন তবে চিকিৎসার কোনো নথি দেখাতে পারেননি তার দাবি মানিব্যাগ হারিয়ে যাওয়ায় সব কাগজপত্র হারিয়ে গেছে
চাচা ফারুক মিয়ার বলেন ৫ আগস্টের ঘটনাটির সূত্রপাতই হয়েছিল রাসেলের নেতৃত্বে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষ আহত হয়েছিল
প্রকৃত জুলাইযোদ্ধা মো আলমগীর মিয়া বলেন রাসেলের ঘটনায় যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া জরুরি সত্য হলে সে আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান রাসেল ঢাকার মাধ্যমে গেজেটভুক্ত হয়েছেন বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে আসায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।